গণনার সময়ের রেকর্ড, বস্তার পরিমাণের রেকর্ড, টাকার হিসেবের রেকর্ড সব ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের।
শনিবার দিনব্যাপি ও পরদিন রবিবার রাতের কিয়দংশ সময় নিয়ে সাড়ে ১৭ঘন্টা (নামাজের সময় বাদে) একটানা ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০জন কর্মচারী, মসজিদ কমিটর ৩৪ জন ও আনসার বাহিনীর ১০জন সদস্যের সহায়তায় গণনা শেষে ৯টি দানবাক্সের টাকার হিসেব মিলেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। এ হিসেব পরিমাণের দিক দিয়ে সময়কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। প্রতি ৩মাস অন্তর অন্তর মসজিদের দানবাক্স খোলার নিয়ম থাকলেও এবার রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরের ঝামেলার কারণে ৪মাস ১০দিন পর ৯টি দান বাক্স খোলা হয়। আগের গণনার হিসেব থেকে এবার দেড় কোটি টাকা বেশি পাওয়া গেছে।
দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত উদ্দিন ভুইয়া জানান, এর আগের ২০২৩সালের ৯ডিসেম্বর ২৩ বস্তা টাকার গণনায় পাওয়া গিয়েছিলো ৬ কোটি ৩২লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।
ইহা ছাড়াও প্রতিবারের মতো এবারও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, রূপা ও স্বর্ণ। তদুপরি হাঁস, মোরগ-মুরগি, গরু,ছাগল,দুধ ও কোরআন শরীফ বিক্রি থেকে রয়েছে প্রাপ্ত টাকা।
টাকা গণনার কাজে প্রধান সমন্বয়কের ভুমিকা পালন করেন কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহবায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ। তার নির্দেশেই সকাল সাড়ে ৭ঘটিকায় ৯টি দানবাক্স খোলেন মসজিদের কর্মকর্তা ও খাদেমগণ।
Leave a Reply