আজ ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রায় দু’দিন ধরে গণনা শেষে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেলো ৭কোটি ৭৮লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা

ভোরের আলো ডেস্কঃ

গণনার সময়ের রেকর্ড, বস্তার পরিমাণের রেকর্ড, টাকার হিসেবের রেকর্ড সব ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের।

শনিবার দিনব্যাপি ও পরদিন রবিবার রাতের কিয়দংশ সময় নিয়ে সাড়ে ১৭ঘন্টা (নামাজের সময় বাদে) একটানা ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০জন কর্মচারী, মসজিদ কমিটর ৩৪ জন ও আনসার বাহিনীর ১০জন সদস্যের সহায়তায় গণনা শেষে ৯টি দানবাক্সের টাকার হিসেব মিলেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। এ হিসেব পরিমাণের দিক দিয়ে সময়কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। প্রতি ৩মাস অন্তর অন্তর মসজিদের দানবাক্স খোলার নিয়ম থাকলেও এবার রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরের ঝামেলার কারণে ৪মাস ১০দিন পর ৯টি দান বাক্স খোলা হয়। আগের গণনার হিসেব থেকে এবার দেড় কোটি টাকা বেশি পাওয়া গেছে।

দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত উদ্দিন ভুইয়া জানান, এর আগের ২০২৩সালের ৯ডিসেম্বর ২৩ বস্তা টাকার গণনায় পাওয়া গিয়েছিলো ৬ কোটি ৩২লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।

ইহা ছাড়াও প্রতিবারের মতো এবারও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, রূপা ও স্বর্ণ। তদুপরি হাঁস, মোরগ-মুরগি, গরু,ছাগল,দুধ ও কোরআন শরীফ বিক্রি থেকে রয়েছে প্রাপ্ত টাকা।

টাকা গণনার কাজে প্রধান সমন্বয়কের ভুমিকা পালন করেন কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহবায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ। তার নির্দেশেই সকাল সাড়ে ৭ঘটিকায় ৯টি দানবাক্স  খোলেন মসজিদের কর্মকর্তা ও খাদেমগণ।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category